
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আয়না নুর ইসলাম নামে চার বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা তাসনিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় ওই শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গুলজার হোসেন।
তিনি জানান, মেয়ে আয়না নুর ইসলাম (৪) ও পাঁচ মাসের একটি সন্তানকে নিয়ে খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রীর ১২ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকতেন তাসনিয়া চৌধুরী। তার স্বামী আতিকুল ইসলাম দুধের ব্যবসায়ী। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় থাকেন। তাসনিয়া চৌধুরী মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছে তার স্বামী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
অভিযুক্ত নারীর স্বামীর বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী আতিকুল ইসলামের কাছে টাকা চায় স্ত্রী তাসনিয়া চৌধুরী এবং সে তার স্বামীর কাছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় যেতে চায়। তাসনিয়া চৌধুরী তখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। তখন তার স্বামী আতিকুল ইসলাম এত রাতে তাকে আসতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বড় মেয়ে আয়না নুর ইসলামকে গুরুতর আঘাত করে তাসনিয়া এবং সে অচেতন অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকে। এ সময় পাঁচ মাসের ছেলেকেও সে আঘাত করে। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।
পরে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক তাসনিয়া চৌধুরী আটক রয়েছেন। তার স্বামী আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় তাসনিয়া চৌধুরীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে ওই নারী কি ধরনের মাদক সেবন করতেন, সে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান।